অস্ট্রেলিয়া দলে অভিষেক হয়েছিলো লেগ স্পিনার হিসেবে স্টিভ স্মিথের। অনেকেই তার মধ্যে কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের ছায়া খুঁজে পেয়েছিলেন; সেটা হয়ে উঠেনি। তবে স্বীকৃতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অন্যভাবে প্রমাণ করেছেন তিনি। টেস্টে ক্রিকেটে ১০ হাজারি ক্লাবে প্রবেশে করেছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। যদিও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পাঁচ অঙ্কের টেস্ট রান, মানে ১০, ০০০ রান। মাইলফলকটা এর আগে ছুঁয়েছেন অ্যালান বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ আর রিকি পন্টিং। বোর্ডার সবার আগে, তারপর ওয়াহ, তারপর পন্টিং।
রেকর্ডটা হয়ে যেত ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ শুরুর আগেই। দুই ইনিংস মিলিয়ে স্রেফ ৩৮ রান করলেই হতো।
তার এই উপলক্ষ্যকে বরণ করে নিতে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ভর্তি দর্শক তো বটেই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আগের তিন ১০ হাজারি ক্লাবের ব্যাটারকে। তবে স্মিথের তাদের সামনে রেকর্ডটা গড়া হয়নি।
দুই ইনিংসেই শিকার বনে গেলেন ভারতীয় পেসার প্রসিধ কৃষ্ণার। দুই ইনিংস মিলিয়ে রান উঠল ৩৭। নড়বড়ে নব্বই শুনেছেন–দেখেছেন আপনি। নিরানব্বইয়ে আউট হওয়া ব্যাটারের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু নড়বড়ে নয় হাজার নয়শো নিরানব্বই? বিষয়টা বিরল। আর তাতে নতুন সংযোজন হয় স্মিথের নাম।
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাই মাইলফলক থেকে এক রানের দূরত্বে ছিলেন স্মিথ। দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর লাঞ্চ ব্রেকের একটু আগে উইকেটে এলেন। এরপর প্রবাথ জয়াসুরিয়ার ফুলার লেন্থের বলটা মিড অনে ঠেলে দিয়েই একটা রান নিয়ে নিলেন। ১০ হাজারি ক্লাবে পা রাখলেন সঙ্গে সঙ্গে। ক্রিকেট ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম সময়ে তিনি রেকর্ডটা গড়লেন।
তার এই অর্জনে গলে হাজির দর্শকরা তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন। তবে সেটা ঠিক সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে যতটা হতো ততটা হতো না। এই ম্যাচ নিয়ে অতো আয়োজনও করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।