গত ৬ দিনে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক থেকে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬১ টাকা আয় হয়েছে।
তদারকি কমিটির পক্ষ থেকে এসব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ–পরিচালক ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের কর্মকর্তা আরও জানান, গত শুক্রবার থেকে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করা হয়।
গত ১৯ জুন পর্যন্ত ৬ দিনে পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ রাইড ফি এবং খাবার বিক্রি বাবদ আয় হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫ টাকা। কাশবন বিক্রি করে আয় হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
এছাড়া পার্কের গাছের আম বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৪৮ হাজার ২১৬ টাকা। এসব খাত থেকে মোট আয় হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৬১ টাকা।
আয়ের সব টাকা বৃহস্পতিবার তদারকি কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের ব্যবস্থাপনায় খোলা ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে সাভানা পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় তদারকি কমিটি গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ওইদিন সকাল থেকে ১০০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করেন দর্শনার্থীরা।
গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে পার্কটি বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন আদালতের নির্দেশে পার্কটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন। গত ১৩ জুন পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ–পরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।