রাজধানীসহ সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মানুষজন ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষের আয় কমেছে। ঘনকুয়াশা আর কনকনে শীতে নাকাল নওগাঁবাসী।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি। যা এই মৌসুমে সবচেয়ে কম। সন্ধ্যার পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ হামিদুল হক জানান, মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ জনপদে। যা আরও ২–৩ দিন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয় আবহাওয়া অধিদফতর। এতে বলা হয়, দেশের চার জেলা: কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) বইছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। হাসপাতাল গুলোতেও বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো জনপদ। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। গত ৩ দিনে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫০ জন।
দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতে কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমলেও, তীব্র শীতের সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। হাড় কাপানো শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এসএ/দীপ্ত নিউজ