“যা কিছু ছিল দিয়েছি ঢেলে তাদের সুখের তরে দিয়েছি কত শ্রম সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব যখন, সঙ্গী হলো বৃদ্ধাশ্রম।”প্রবীণদের শেষ প্রহরটুকু একটু ভালো কাটুক-এমন প্রত্যাশা নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমের পথচলা শুরু হলেও বাস্তবতা হলো বৃদ্ধাশ্রমে ভালো নেই বৃদ্ধ মা-বাবারা।
স্বজনহীন একাকী জীবন কিংবা শারীরিক কষ্টের চেয়ে মনের গহীনে লুকানো কষ্ট এসময় পীড়া দেয় আরও বেশি। প্রতিনিয়ত স্মৃতির জানালায় দাঁড়িয়ে ফিরে দেখেন পেছনে ফেলে আসা সুখ-দুঃখের স্মৃতি। দেশের নানা অঞ্চলে সরকারি ও বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বৃদ্ধাশ্রম। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৃদ্ধাশ্রমের চাহিদা। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিবার বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে। পারিবারিক নানা কারণে বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীণদের! আবার কেউ কেউ শেষ বয়সে কারও বোঝা হতে চান না, তাই স্বেচ্ছায় ঠিকানা হিসেবে বেছে নেন বৃদ্ধাশ্রম।
তাই রমজান মাসে যেসকল প্রবীণরা আপন পরিবার থেকে দূরে ও এই বৃদ্ধাশ্রমে একাকী জীবন কাটাচ্ছে, তাদের কিছুটা সময়ের জন্য আনন্দ অনুভব করানোর জন্য ভারতেশ্বরী হোমস অ্যালুমনি ওয়েলফেয়ার সোসইটির উদ্যোগে গাজীপুর বৃদ্ধাশ্রমে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি ভারতেশ্বরী হোমসের বেশ কয়েকজন সদস্য বৃদ্ধাশ্রমের প্রায় ১৬০ জন প্রবীণদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে ইফতার করেন। এসময় বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীণদের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত কাটান তাঁরা।
এমি/দীপ্ত