রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় তার বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, অতীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য গুলো এক্সামিন করলে দেখবেন উনার নিজের বক্তব্য ছিল সাহস থাকলে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে। এখন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া উনার জন্যও ভালো। এটা উনার দর্শনও ছিল। উনি হয়তো তাই করবেন বলে মনে করেন এটর্নি জেনারেল।
এটর্নি জেনারেল আজ তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এটর্নি জেনারেল বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইন দ্বারা গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রত্যেক আসামির উচিৎ আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল বিষয়ে এটর্নি জেনারেল বলেন, প্রসিকিউশন যদি আসামির অবস্থান নিশ্চিত হন সেক্ষেত্রে তাকে ফিরিরে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিয়েও ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে ইন্টারপোলের এখতিয়ার রয়েছে কিনা।
এক প্রশ্নের জবাবে এটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের মধ্য দিয়ে বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেল।
তিনি বলেন, অবশ্যই আজকের রায়টি বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার ক্ষেত্রে মাইলফলক ও ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। আজকের এই রায়ের ফলে বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের একটা জায়গায় গেলো এবং বিচারবিভাগ দুর্বৃত্তায়ন ও রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এলো।
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ফেরা প্রসঙ্গে এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক একটি দায়িত্ব অর্পিত হলো।’
আল/ দীপ্ত সংবাদ