বিদায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দেশের সর্বোচ্চ পদ থেকে আজ বিদায় নেবেন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাভাজন, ৭৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। এর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে একটি অধ্যায়ের।
রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি হয়েও একজন সাধারণের মতো তাঁর জীবনযাপন। সবসময় হাসিমুখে হাত বাড়িয়েছে দিয়েছেন সবার দিকে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন, মো. আবদুল হামিদ। এরপর ২০১৮ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। টানা দুই মেয়াদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন, এই রাজনীতিক। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে তাঁর বিদায়, আবেগতাড়িত করে সাধারণ মানুষকে।
আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু। অংশ নেন ১৯৬১ সালের আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। ৬২ সালে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে কারারুদ্ধ করে পাকিস্তান সরকার।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আবদুল হামিদ। ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক।
আবদুল হামিদ কতটা জনবান্ধব রাজনীতিবিদ, তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন নির্বাচনে। ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ–১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য হন তিনি। এরপর ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ–সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার, বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ওইসময় ছিলেন সবার মধ্যমনি।আওয়ামী লীগের বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে একজন সজ্জন রাজনৈতিক হিসেবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব আব্দুল হামিদ।
শুধু রাষ্ট্রপতির পদ থেকেই নয়, রাজনীতিকেও বিদায় জানাচ্ছেন মো. আবদুল হামিদ। তবে কিশোরগঞ্জসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন গণমানুষের এই নেতা।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ