মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০২৫
মঙ্গলবার, মার্চ ২৫, ২০২৫

বিজিবিএ ও বিজিবিএর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে এই ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে দুই সংগঠনের নেতারা দেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বক্তারা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য বিজিবিএর।এটি বাস্তবায়ন করতে হলে বিজিএমইএ ও বিজিবিএর মধ্যে যে দূরত্ব সেটি কমিয়ে আনতে হবে। বিজিএমইএ বিজিবিএ ও বিকিএমইএকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জন্য ও ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার আবুল কালাম, জেএফকে সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন, টর্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন, এ জি আই গ্রুপের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল, বিজিএমইএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম সাইফুর রহমান ফরহাদ।

চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম বলেন, বিজিএমইএ ও বিজিবিএর বন্ধন যেন অটুট থাকে। দুটি সংগঠন একটা আরেকটাকে ছাড়া চলতে পারবে না। দেশের স্বার্থে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।

জেএফকে সোয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কফিল উদ্দিন বলেন, গার্মেন্ট মালিক তথা ম্যানুফেকচাররা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হতাম বায়িং হাউস দ্বারা। কিন্তু বায়িং হাউস এসোসিয়েশন সক্রিয় হওয়ার পর আমরা অনেক বায়িং হাউসের সঙ্গে কাজ করতে আস্থা পাচ্ছি। এই আস্থার সম্পর্ক ধরে রাখতে হবে।

এ জি আই গ্রুপের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল বলেন, গার্মেন্ট সেক্টরে যে আন্দোলন চলছে সেগুলো কতটা যৌক্তিক তা বিবেচনা করতে হবে। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের জন্য বৃহৎ কোম্পানীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীহামলাকারীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

বিজিএমইএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন, টেকসই বাণিজ্যের জন্য বিজিবিএ ও বিজিএমইএর মধ্যে যে গ্যাপ সেটি দূর করতে হবে। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি, সেটি নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে সেগুলো দূর করতে হবে।

বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম সাইফুর রহমান ফরহাদ বলেন, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নতুন নতুন যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে সেগুলো মোকাবিলা করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বায়িং হাউস সেক্টরে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, লাখ লাখ পরিবার এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল, সবার কথা মাথায় রেখে উৎপাদনের সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোর সহায়তা জোরদার করতে হবে।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বিজিবিএর কার স্টিকার উন্মোচন করা হয়। যেটি ব্যবহার করে বায়িং হাউস ব্যবসায়ীরা বিমানবন্দর, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More