বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফেনী জেলাকে পলিথিন মুক্ত করার দাবিতে ফেনীস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে স্মারকলিপি দিয়েছে স্বাধীনতা এনজিও ফেডারেশন (স্বনাফ)। রবিবার ( ৯ এপ্রিল) দুপুরে উপপরিচালক মোসাম্মৎ শওকত আরা কলি তার কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা এনজিও ফেডারেশন (স্বনাফ) সভাপতি এ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন বাহার, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, এনজিও ফেয়ার এর চেয়ারম্যান কাজী সালাহ উদ্দিন নোমান, পরিবর্তন সোসাইটির পরিচালক শরিফুল ইসলাম, স্বনাফ এর সদস্য মাসুমুর রহমান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, স্বনাফ লক্ষ্য করে দেখেছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সবুজ শহর ফেনীতে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এ অপচনশীল পলিথিন মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। এছাড়াও শহরের জলবদ্ধতার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ এবং মানবদেহের জন্যও অনেক ক্ষতিকারক। অন্যদিকে এ নিষিদ্ধ পলিখিন আগুনে পুড়ালে সেটা থেকে যে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়, তা বায়ুর সঙ্গে মিশে পরিবেশ, প্রাণ-প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। অথচ ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থানে (ফেনী ভিতরের বাজার), এ নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও প্রায় ২২/২৩ বছর আগে করা পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২০০২ সালে সংশোধনী এনে পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা হয়।
তারা দাবি করেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ সুরক্ষিত করতে ফেনী জেলাকে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মুক্ত করা হোক। দাবিসমূহ হলো: ফেনী শহর ও ফেনী জেলাকে পলিথিনমুক্ত করা হোক, পলিখিন মুক্তকরণে যথাযথ আইন প্রয়োগ করা হোক, সকল পলিথিন উৎপাদন, বিপনন, বাজারজাত, গোডাউনজাত, পলিথিন বিক্রয় প্রদর্শনী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হোক ও পলিখিন কারবারীদের আইনের আওতায় আনা হোক, নিয়মিতভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হোক।
স্বাধীনতা এনজিও ফেডারেশন (স্বনাফ) সভাপতি এ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন বাহার জানান, ফেনীর পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে অবিলম্বে এ দাবীসূমহ বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাম্মৎ শওকত আরা কলি স্মারকলিপি প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ফেনীকে পলিথিনমুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আল/দীপ্ত সংবাদ