সপ্তাহ জুড়ে প্রচন্ড তাপদাহ বইছে চুয়াডাঙ্গায়। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউই। ঘরের বাইরে যেন বয়ে যাচ্ছে আগুনের ফুলকি। এ অবস্থায় ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষকে ফেলেছে চরম বেকায়দায়। একটুখানি ছায়ার জন্য লোকজন ছুটছেন গাছতলায়, বটবৃক্ষ ছায়ার তলে।
গরমের কারণে বেশিরভাগ দিনমজুর ও শ্রমিক কাজে বের হতে পারছেন না। বের হলেও ১০–১৫ মিনিট বাইরে থাকতেই তারা হাঁপিয়ে উঠছেন। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে বাড়ী ফিরেও ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারনে তারা পাচ্ছেন না স্বস্তি।
তীব্র এ তাপদাহের মধ্যে শহর ও গ্রামে সমানতালে চলছে লোডশেডিং। মধ্যরাতেও দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হওয়ায় মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে। অনেক জায়গায় দিন–রাত মিলে ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টাই লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে ইজিবাইক ও রিকশা ভ্যানের ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে না। এতে করে সেসবের চলাচল অনেক কমে গেছে। প্রচণ্ড গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছুটছেন হাসপাতালে। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমের সাথে লোডশেডিংয়ের কারণে হাঁসফাঁস শুরু হয়েছে জনজীবনে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা রয়েছে চরম দূশ্চিন্তায়।
পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় পিক আওয়ারে (বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা) ১৯ মেগাওয়াট এবং অফপিক আওয়ারে (রাত ১২টা থেকে পরদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টা) ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। সেখানে গড়ে পিক আওয়ারে সাড়ে ১৩ মেগাওয়াট এবং অফপিক আওয়ারে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে।
গ্রিড কোম্পানি থেকে সরবরাহ কম পাওয়ায় গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি ফিডারে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
জান্নাতুল/ আল/দীপ্ত সংবাদ