তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ। এই অবরোধের ফলে তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করছে না, এতে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এর আগে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পাহাড়ি–বাঙালি সংঘর্ষে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন নিহত এবং অনেক স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতা’ ব্যানারে এই অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘোষিত এই অবরোধে পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থন জানিয়েছে।
অন্যদিকে, রাঙামাটিতে শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে মালিক সমিতি। গতকাল রাঙামাটিতে যানবাহন পোড়ানোর প্রতিবাদে তারা এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। রাঙামাটির ভেদভেদীসহ বিভিন্ন স্থানে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অবরোধের ফলে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শান্তি পরিবহন ও বিআরটিসির বাসগুলো চলাচল বন্ধ রেখেছে। আন্তঃউপজেলা রুটেও কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। একই অবস্থা রাঙামাটি ও বান্দরবানের ক্ষেত্রে। সেখানেও স্থানীয় ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় তিনজন নিহতের ঘটনায় রাঙামাটিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি বনরূপা এলাকায় পৌঁছালে জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। এরপর দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।