শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর গরম কাপড়ের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস এবং ঢাকাতেও তাপমাত্রা ক্রমশ নিচে নামার কারণে গরম পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে দামও। এ বছর গরম কাপড়ের দাম ১৫–২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গত দুই–তিনদিনে মিরপুর, নিউমার্কেট এবং বাংলাবাজারের গরম কাপড়ের দোকানে সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রেতারা গরম জামা, জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর এবং কম্বল কেনায় ব্যস্ত। পুরনো কাপড়ের বাজারেও প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মধ্যম আয়ের ক্রেতারা তুলনামূলক সস্তা দামে গরম কাপড় কিনতে আসছেন।
নিউমার্কেটের এক বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের শুরুতেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে, তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।‘
একই চিত্র দেখা গেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। গরম কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘গরম পোশাকের দাম এ বছর খুব বেশি। গত বছর যে সোয়েটার ৫০০ টাকায় পেয়েছি, এখন তা ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত বাড়ছে, কিনতে তো হবেই।‘
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শীত আরও বাড়বে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। ঢাকায়ও শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরম কাপড়ের দাম বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং আমদানি খরচ বৃদ্ধি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গার্মেন্টস পণ্যের চাহিদা বাড়ায় ছোট ব্যবসায়ীরা পণ্য সংগ্রহে প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছেন।
সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে শীতার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও তা এখনো পর্যাপ্ত নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন।
অসহায় মানুষদের শীত নিবারণে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। পাশাপাশি, বাজার মনিটরিং বাড়িয়ে কাপড়ের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আল