কুড়িগ্রামে একই পরিবারে ৭ সদস্যের ৫ জনই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। পরিবারটির উপার্জনের কোন পথ না থাকায় অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের। প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কোন রকমে চলছে তাদের অভাব অনটনের সংসার।
কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের চর সুভারকুটি গ্রামের মোক্তারের হাট এলাকার সহিদার রহমানের বয়স ৬৫ বছর। তিনি জন্মগতভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার স্ত্রী আছমা বেগমও বিয়ের পরেই টাইফয়েড জ্বরে দৃষ্টি হারান। তাদের ৫ সন্তানের মধ্যে শফিকা খাতুন (১৮), শরিফা খাতুন (১৬) ও মাছুম বিল্লাহ (২০) সহ ৩ জনই জন্মগতভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এ পরিবারটি ৩ ছেলে মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না তারা।
সহিদার রহমান স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করলেও অসুস্থ জনিত কারণে সে চাকুরীটিও হারিয়েছেন তিনি। সহিদারের সুস্থ মেয়ে সাঈয়েদা সিদ্দিকা উচ্চ ম্যাথমিক পাশ করলেও অর্থের অভাবে ঠিকমতো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না।
স্থানীয়রা জানান, এই পরিবারটি অভাব অনটনের অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে। একমাত্র পুত্র সন্তান মাছুম বিল্লাহ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সেও কর্ম করতে পারছে না।
প্রতিবন্ধী ভাতা পরিবারটির একমাত্র আয়ের উৎস। তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
সমাজ সেবার এ কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা ৫ জনকেই সুবর্ন কার্ড করে দিয়েছি। সরকারের দেয়া প্রতিবন্ধী ভাতায় পরিবারটির সংসার চলছে। তারপরেও আমরা আমাদের বিভাগ থেকে সবসময়ই সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি সরকারী–বেসকারী সংস্থা ও সংগঠন পাশে দাড়ালে পরিবারটি কষ্ট কিছুটা লাঘব বলে বলে জানান ।‘
অনু/দীপ্ত সংবাদ