ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠীর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের। সংকট নিরসনে আমদানির ক্ষেত্রে বাজার যাচাইয়ের মাধ্যমে দেশের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
চাহিদার শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। অবশ্য এর আগেই ২০১৭ সালে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে সরকার।
সম্প্রতি ঝাড়খন্ডের গোড্ডা থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ শুরু করেছে আদানি গ্রুপ। দ্রুতই তা সাতশ মেগাওয়াটে পৌঁছাবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ যেখানে বিদ্যুৎ প্রস্তুত করায়, তাদের অনেক সুবিধা আছে। তারা কয়লা সহজে আহরণ করতে পারে, তাদের বিনিয়োগ করারও সুবিধা রয়েছে। ফলে তারা সহজে বিদ্যুৎ প্রস্তুত করতে পারছে। তারা বিদ্যুৎ প্রস্তুত করে আমাদের দিচ্ছে। এটাকে রেডিমেড আমদানিও বলা হয়।
আদানির বিদ্যুতের দাম নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা–সমালোচনা চলছে। এ ব্যাপারে দেশের স্বার্থ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞদের।
ডলার দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানির না করে, কয়লা কিনে উৎপাদনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ