আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা। বিদ্যুৎ, রেল সংযোগ, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মেগাপ্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে এই পর্যটন নগরী। জাতীয় অর্থনীতির প্রাণশক্তির পাশাপাশি কক্সবাজার হবে দক্ষিণ এশিয়ার ট্যুরিজম হাব। গত দেড় দশকে সরকারের সুপরিকল্পিত উন্নয়নের সুফল পেতে শুরু করেছে জেলার বাসিন্দারা।
সুবিশাল সুমদ্রের হাতছানি সাথে মায়াঘেরা পাহাড়টিলা, কক্সবাজারের পরিচিতি এখন বিশ্বব্যাপী। গেল দেড়দশকে দক্ষিণ–পূর্বের এই জেলা বদলেছে বহুগুণে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে হচ্ছে একের পর এক মেগাপ্রকল্প।
কক্সবাজার শহরের খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য করা হচ্ছে ব্যতিক্রমী আশ্রায়ণ প্রকল্প। ৫ তলা বিশিষ্ট ৩৯টি ভবনের মধ্যে ২০টির নির্মাণ কাজ শেষ। বিশ্বের প্রথম মাল্টি স্টোরেটড আশ্রয়ণপ্রকল্পের প্রভাব পড়েছে প্রান্তিক জীবনে। খুরুশকল আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থান পাওয়ার পর স্বাবলম্বী হওয়াদের মধ্যে একজন রহিমা বেগম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ অনন্য উদ্যোগের প্রতিটি ভবনে রয়েছে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম। থাকবে বোতলজাত পানিও। বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে উন্নীত করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের। ১০ হাজার ৭০০ ফুট দীর্ঘ রানওয়ের ১৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের মাঝে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণের উদ্যোগ হিসেবে খুরুশকুলে স্থাপন করা হচ্ছে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প। ৬০ মেগাওয়াটের এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানো যাবে ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৮ হাজার ৮২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর। যাকে ঘীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
আমদানিকরা অপরিশোধিত জ্বালানি চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারীতে নিতে সময় লাগে ১০/১২ দিন। খরচও হয় বেশি। মহেশখালীর এইচপিএম প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জ্বালানি ইস্টার্ন রিফাইনারীতে নিতে সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। বছরে খরচে বাঁচবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
কক্সবাজারের সাথে রেল যোগাযোগ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেল স্টেশন। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে অনেকগুলো বিজনেস হাব তৈরি হবে। এই হাবগুলোর ফলে বদলে যাবে পুরো কক্সবাজার।
স্থানীয়রা মনে করছেন, এসব কর্মযজ্ঞের ফলে বদলের পালে যে হাওয়া বইছে, তা বেগবান করবে এই জেলার সার্বিক অর্থনীতি।
আল / দীপ্ত সংবাদ