অবশেষে সরানো হচ্ছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ–উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল ইসলামকে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছিলেন শিক্ষার্থীরা। অনশন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুধবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
গত ২ দিন রাতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এর আগে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিদল দিনে তাদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
অপরদিকে শিক্ষার্থীদের এই অনড় অবস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় কুয়েট শিক্ষক সমিতি। এছাড়া জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহারের পাশাপাশি বুধবার থেকে হল খুলে দেওয়া এবং ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি মারামারির ঘটনায় ১৪ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়।
আল