সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বনজীবি মন্টু গাজী অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন জানানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজী ২৩ জুন আবেদন করলে বিচারক হাকিম মোঃ মহিউদ্দিন আগামিকাল সোমবার(২৬ জুন) রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আসামীরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের গহর আলী গাজীর ছেলে গাবুরা ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান ও একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে দৈনিক পত্রদূতের স্থানীয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান।
নিহত মন্টু গাজীর স্ত্রী ছবিরুন্নেছা জানান, তার স্বামী সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যেয়ে নিখোঁজ হন। যে কারণে তিনি মামলা করতে রাজী না হওয়ায় তার বিমাতা দেবর বিশেষ একটি মহলের সঙ্গে চুক্তি করে আদালতের মাধ্যমে থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে শ্যামনগরের ডুমুরিয়া গ্রামের সাবুত আলী গাজীর ছেলে মন্টু গাজীকে(৫২) ডুমুরিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার বিমাতা ভাই আবুল হাসান গত ১০ মে শ্যামনগর থানায় ৫৬৭ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে স্ত্রী ছবিরুন্নেছা মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করলে আবুল হাসান বাদি হয়ে গত ১৮ জুন সাতক্ষীরার ৫নং আমলী আদালতে অপহরণ মামলা করেন।
মামলায় রুহুল আমিন, ইউপি সদস্য আবিয়ার গাজী, সাংবাদিক মিজানুর রহমানসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্তি মুখ্য বিচারিক হাকিম মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। গত ২০ জুন শ্যামনগর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজীর উপর ন্যস্ত হয়। ২২ জুন নিজ নিজ বাড়ি থেকে আবিয়ার গাজী ও মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার বিচারিক হাকিম মহিউদ্দিনের আদালতে রিমাণ্ড আবেদনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে সোমবার শুনানীর জন্য দিন ধার্য করায়।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় সোমবার মিজানুর রহমান ও আবিয়ার গাজীর রিমাণ্ড শুনানীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পূর্ণ/ দীপ্ত নিউজ