বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

মানবাধিকার লঙ্ঘনে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত ছিলেন: ভলকার টুর্ক

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশনেরপ্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক এ তথ্য জানান।

ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে সাবেক সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভলকার টুর্ক বলেন, ‘আমার অফিস খুঁজে পেয়েছে যে, সাবেক সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অবগত ছিল এবং প্রকৃতপক্ষে গুম, নির্বিচারে গ্রেপ্তা, সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন ইত্যাদি কার্যক্রমে তাদের সরাসরি জড়িত ছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘এই মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে রাজনৈতিক নেতৃত্ব জানতো এবং তাদের নির্দেশেই এসব ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, বিক্ষোভকারীদের ওপর মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশন ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত শুরু করে। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিস ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এ তদন্ত শুরু করে এবং পাঁচ মাস পর জেনেভায় এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

এ সময় জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা। গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত দলের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

তিনি আরও জানান, ‘সাবেক সরকারের কর্মকর্তারা, নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগের সহিংস কর্মীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এসব ঘটনায় শতশত বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গ্রেপ্তা, নির্যাতন এবং শিশুদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সময়ে যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।

ভলকার টুর্ক আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে, প্রায় ১৪০০ মানুষ মারা গেছেন এবং এটি আরও বেশি হতে পারে। তাদের বেশিরভাগই গুলিতে নিহত হয়েছে, এবং গুলি করার জন্য মিলিটারি রাইফেল ও শটগান ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা রিপোর্টে অনুরোধ করেছি যে, ছররা গুলি ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।

শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান প্রসঙ্গে ভলকার টুর্ক বলেন, ‘যদি অপরাধী দেশের বাইরে থাকে, তবে আন্তর্জাতিক এখতিয়ার (ইউনিভারসাল জুরিসডিকশন) ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সে দেশের সরকারকেও সম্মতি দিতে হবে, যাতে গুরুতর মানবাধিকার অপরাধের বিচার করা যায়।

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More