ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ২শ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কে মারা গেছে ২০ হাজার ৬৬৫ জন। আর সিরিয়ায় নিহত হয়েছে তিন হাজার ৫১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জনকে জীবিত উদ্ধারের তথ্য দিয়েছেন তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার তুরস্কে, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পের ৬ দিন পার হলেও, এখনও শেষ হয়নি উদ্ধার কাজ। তীব্র ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়াই করে দিন পার করছেন লাখ লাখ বাস্ত্যুচ্যুত মানুষ।
সিরিয়া ও তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ লাখ ৭৪ হাজার মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করতে, ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি। এ অর্থের জন্য দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তীব্র শীতের কারণে সিরিয়ার দুই লাখ ৮৪ হাজার এবং তুরস্কের পাঁচ লাখ ৯০ হাজার গৃহহীন মানুষের জন্য, গরম খাবার জরুরি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় ‘পুরোপুরি বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে, দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস। তবে নানা বিধিনিষেধের কারণে সেখানে ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত জরুরি যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে। সেইসঙ্গে যানবাহন চালানোর জন্য জ্বালানি সঙ্কট তো আছেই।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৯০ ভাগ মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। খাদ্যের মজুত সেখানে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটও। এ অবস্থায় শুক্রবার যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে বাশার আল আসাদ সরকার।
আল/দীপ্ত