সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে এসএসসি পাশ করে তিন থেকে চার বছর মেয়াদী পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স শেষে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এণ্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমমান করা সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন সাতক্ষীরা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি সোমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সহসভাপতি সজীব উদ্দিন, সদস্য নাহিদ পারভেজ, সিনিয়র স্টাফ নার্স ফয়সাল ফারাজী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি (পিসিটি) কোর্সের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এণ্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমমান করার লক্ষ্যে ১০ বছর আগে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করে। ২০১৯ সালে তাদেরকে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এণ্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরপরই ওই আদেশের বিরুদ্ধে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এণ্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে রিট পিটশন দাখিল করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ফলে ২০১৯ সালে লাইসেন্স পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এণ্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের শিক্ষার্থীরা জয়লাভ করে।
অথচ গত ২ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পাশ করে চার বছর পিসিটি কোর্স করা শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের ইন্টার্নশীপ করা শিক্ষার্থীদের তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এণ্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের সমমান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সূযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যোগ্যতা অনুসারে এটা পক্ষপাতিত্ব ছাড়া কিছু নয়। এটা মেনে নেওয়া হবে না। একইসাথে তারা কারিগরি মুক্ত নার্সিং, প্রতি আটজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন ক্লিনিকাল ইনসট্রাক্টর এর বাস্তব প্রয়োগসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে নাসিং, মিডিওয়াইফারি কোর্সের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ৩৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
রাঘুনাথ খান/আফ/দীপ্ত নিউজ