উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎ কাউকে বলে দিতে হয় না যে শরৎ এসেছে। সামারের ফুল শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় পাতার রসায়ন! সবুজ রং অন্য সব রং থেকে গাঢ় বলে চোখে পড়ে বেশি। ক্লোরোফিল যখন সূর্যের আলোর সঙ্গে কাজ করে, তখনই পাতা বেশি সবুজ দেখায়।
শরতে পাতার জ্যানথোফিল ও ক্যারোটিন রঙই চোখে পড়ে। তাই শরৎকালে অনেক গাছের পাতার রঙ হয় হলুদ বা কমলা রঙের। কারণ গোটা গরম কাল জুড়ে পাতারা গাছে খাদ্য হিসাবে চিনি উৎপাদন করে। ওই চিনি রসের আকারে সারা গাছে ছড়ায়। কিন্তু যখন পাতার বোঁটার মুখে নরম কাঠের স্তর জমে, তখন ওই চিনি পাতায় আটকে যায়। ঐ আটকে পড়া চিনি লাল রঙ ধারণ করে।
পাতাগুলো যখন শুকিয়ে মরে যায়, তখন বাদামি রঙের হয় এবং ঝরে যায়। ঐ যে পাতার বোঁটার কাছে নরম কাঠের স্তর জমেছিল সেটা তখন শক্ত হয়ে জায়গাটাকে রক্ষা করে, যাতে এই জায়গা দিয়ে গাছের পানি বেরিয়ে যেতে না পারে। এই প্রক্রিয়ায় যেসব গাছের পাতা ঝরে যায়, সেগুলোকে বলে পাতাঝরার গাছ।।
কি নিখুত শিল্পকৌশল ব্যবহার করেছেন এর স্রষ্টা। কতই মহান তিনি!
লেখক: আরজু মান্দ বানু
সমাজকর্মী, ভ্যান্কুভার, কানাডা থেকে।