বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আজ সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর উপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “বঙ্গমাতা” এর প্রিমিয়ার শো।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় “বঙ্গমাতা” স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন গৌতম কৈরী। আজ ০৭ আগষ্ট ২০২৩ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিমিয়ার শো এর অনুষ্ঠান আয়োজন উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব খলিল আহমদ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী।
স্বাগত বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী “বঙ্গমাতা” এর নির্মাতা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে স্বাগত এবং ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন,‘‘মহিয়সী নারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু তিনি তা দেখে যেতে পারেন নি। আজ সেই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংগ্রাম করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত, নান্দনিক দেশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকলের অংশগ্রহণে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশিষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জনাব মো: মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জনাব মো: মাহবুব হোসেন বলেন– “বঙ্গবন্ধর জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পেছনে বঙ্গমাতার অবদান অতুলনীয়। বঙ্গমাতাকে নিয়ে এ ধরনের ডকুমেন্টারি নির্মাণের প্রসংশা করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ” জাতির পিতার জাতির পিতা হিসাবে বেড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মহিয়সী নারী বঙ্গমাতার। শুধু বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী হিসাবে নয়, সাথী ও রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেজন্য বঙ্গমাতার অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে“।
প্রধান অতিথির ভাষণ প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি। তিনি বলেন – “মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা আজীবন সুখে–দুঃখে বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। মানুষের অধিকার আদায়ে, রাজনৈতিক আন্দোলন–সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রাণিত–উজ্জীবিত করেছেন। সারাজীবন নিজের আনন্দ–সুখকে বিসর্জন দিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছেন। সাধারণ নারীর পক্ষে এটা কখনো সম্ভব নয়। বঙ্গমাতার ত্যাগের মহিমাকে কেউ ন্পর্শ করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন উল্লেখ করে “বঙ্গমাতা” চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জীবনীর উপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা‘ এর প্রিমিয়ার শো। এর উদ্বোধন করেন গাজীপুর–৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমি। হোসেন রিমি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তা–চেতনা বঙ্গমাতা স্পষ্টভাবে অনুধাবন করতে পারতেন। বঙ্গমাতার সুচিন্তিত পরামর্শ বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে, উদ্দীপ্ত করেছে। তিনি বলেন, নারীর অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠায় বঙ্গমাতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি অসাধারণের মধ্যেও ছিলেন সাধারণ। এটাই ছিলো তাঁর বিশেষত্ব। তাই বঙ্গমাতার চেতনাবোধ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে“।
খোরশেদ বাহার এর “বঙ্গমাতা ইতিহাসের নিভুত সৈনিক” উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘বঙ্গমাতা‘ র চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসরীন মুস্তাফা। এতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
পরে প্রদর্শিত হয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “বঙ্গমাতা“।
আল/ দীপ্ত সংবাদ