সিলেটে সব নদ–নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮৬ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩০৭ মিলিমিটারের বেশি।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সিলেটে শূন্য দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সেটি কমে ১১ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় সেখানে ১০ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সেটি কমে ৯ দশমিক শূন্য ৯৪ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় পানি ছিল ১০ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সেখানে ১০ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে ৯ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যায়ও পানির একই উচ্চতা ছিল।
লুভা নদীর লুভাছড়া পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যায় ১২ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সেটি কমে ১১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে। সারি নদের সারিঘাট পয়েন্ট পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সেখানে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ১০ দশমিক ৭৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ছিল ১১ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, সিলেটে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
সাঈদ সাইমুন ইভান/ পূর্ণিমা/ দীপ্ত সংবাদ