সাতক্ষীরায় নকশা অনুযায়ী সীমানা চিহ্নিত করে দুইপাড় দখলমুক্ত করে যমুনা খননের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেল ৫টায় ‘আদি যমুনা বাঁচাও‘ কমিটির উদ্যোগে শ্যামনগর উপজেলা সদরের চৌরাস্তা মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক–ই–এলাহী, শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু, বুড়িগোয়ালিনির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি জি.এম আকবর কবীর, ইউপি সদস্য দেলোয়ারা বেগম, গাজী ইমরান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কালিগঞ্জের ইছামতী নদীর সংযোগস্থল থেকে যমুনা খনন ছিল সময়ের দাবি। কয়েক বছর আগে কালিগঞ্জ থেকে কয়েক কিলোমিটার যমুনা খনন করা হলেও তা যথার্থ ছিল না। ফলে সাবেক মানচিত্র অনুযায়ী আবারো যমুনা খননের দাবি ওঠে।
ওই দাবির সমর্থনে আবারো বরাদ্দ হওয়ায় নকশা অনুযায়ি দুপাড়ের অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করে যমুনা খনন করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় একটি অসাধু চক্রের সাথে সমঝোতা করে যথাযথ মাপ না নিয়ে ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে খনন কাজ শুরু করেন। একই সাথে তারা চন্ডিপুর মহাশ্মশানের বেদি ভেঙে দিয়েছেন। আর্থিক সুবিধা নিয়ে নকশার মধ্যে থাকা বৈঠকখানা, বাড়ি, কবরখোলা রেখে নদীর পরিবর্তে প্রস্থ ও গভীরতা কমিয়ে খাল হিসেবে খনন কাজ করা হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গভীরভাবে খনন করে যমুনা নদীতে জোয়ার–ভাঁটা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যেভাবে যমুনা নদীর খনন কাজকে বিতর্কিত করা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া হবে না।
তবে পরিতোষ মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সরকারি দলের লোক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও সরকারি কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারণে তিনি সরকারকে বিপাকে ফেলতে না চাওয়ায় সুবিধামত সময়ে ঠিকাদার শ্মশান বেদী করে দিলে তার কোন আপত্তি নেই মর্মে উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে জানিয়েছিলেন।
এমি/দীপ্ত সংবাদ