বান্দরবানে লামা উপজেলায় ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে প্রথমবারের মত সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছেন দু‘শো কৃষক। তাদের দেখে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই। জেলায় প্রথমবারের মত ৬৬ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে।
কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সার বীজসহ নানা প্রণোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশে সূর্যমূখী তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এরই অংশ হিসেবে বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, রুমাসহ ৭ উপজেলায় প্রথমবারের মত দু‘শো কৃষককে সার বীজসহ নানা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই ফুল চাষে সাফল্যও পেয়েছেন তারা।
এই ফুল যেমন সবার নজর কাড়ছে, তেমনি এর মাঝেই লুকিয়ে আছে শত শত কৃষকের স্বপ্ন। সামনের বছরগুলোতে সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এক কৃষক জানান, ‘তেল উৎপাদন করা যায়, এজন্য আসলেই আমরা এ চাষ করে লাভবান হতে পারব।’ ভালো ফলন হওয়ায় খুশি তারা।
বান্দরবান লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘সরকার ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরন এবং ভোজ্য তেলের আমদানী কমানোর জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন। এই বছরে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে ৫ দশমিক ৫ হেক্টর, আর সূর্যমুখী চাষ এবারই প্রথম লামা উপজেলায় হচ্ছে।“
প্রতি শতক জমিতে বীজ উৎপাদন হয়, ৭ থেকে ৮ কেজি। আর প্রতি কেজি বীজ থেকে পাওয়া যায় ৫০০ গ্রাম তেল।
অনু/দীপ্ত সংবাদ