ইসলামে শুক্রবারকে বিশেষভাবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে গণ্য হয়। এই দিনে কিছু বিশেষ আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত অর্জনের সুযোগ বেশি থাকে। জুমার দিন বিশেষ কিছু ইবাদত ও আমল করার জন্য হাদিসে উৎসাহিত করা হয়েছে। আসুন, জেনে নেই শুক্রবার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো।
১. গোসল করা: হযরত সালমান ফারসি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে এবং যথাসময়ে জুমার নামাজে আসে, সে যেন এক উট কোরবানি করল।” (সহীহ বুখারি, হাদিস: ৮৮৩)
২. সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি শুক্রবার সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমার মাঝখানে নূর (আলো) থাকবে।” (সুনান আল–কুবরা, বায়হাকি, হাদিস: ৫৯৯৪)
৩. দোয়া ও দরুদ পাঠ করা: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা শুক্রবারের দিন আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ এই দিনে তোমাদের দরুদ আমার কাছে উপস্থাপন করা হয়।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৭)
৪. জুমার নামাজ আদায় করা: আল্লাহ তায়ালা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিন নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝো।” (সূরা জুমু’আহ, আয়াত: ৯)
৫. বেশি বেশি নফল ইবাদত করা: হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে শুক্রবার হচ্ছে সর্বোত্তম দিন; এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫৪)
৬. দান–সদকা করা: যদিও দান–সদকা প্রতিদিনই প্রশংসনীয়, তবে শুক্রবারকে বিশেষ বরকতময় দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শুক্রবার দিনকে ইবাদত ও নফল আমলের জন্য বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন, যা আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম উপায়।
উল্লেখ্র, শুক্রবার এই আমলগুলো আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহায়ক এবং জীবনে বরকত বয়ে আনে।