রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিলেও সুনির্দিষ্ট সময় জানাতে পারেনি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মিয়ানমারে ৫ দিনের বৈঠক শেষে দেশে ফিরে একথা জানিয়েছেন বিজিবি প্রধান। তিনি জানান, আলোচনা চলমান থাকলে মিয়ানমার সীমান্তের সকল সমস্যার সমাধান মিলবে।
মিয়ানমার সেনাদের অভিযানের মুখে কয়েক বছর আগে রাখাইন প্রদেশ থেকে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আলোচনা চলমান থাকলেও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তেমন কোন সাড়া মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে দুই বছর ১০ মাস পর গত ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে আলোচনা হলেও গুরুত্ব পায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি।
দেশে ফিরে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক আরো জানান, মাদক চোরাচালানের বিষয়টি নিয়মিত ঘটনা হলেও, সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দুই দেশের সীমান্তে থাকা বিভিন্ন উগ্রবাদী সশস্ত্র সংগঠন।
বিজিবি প্রধান জানান, সমস্যা সমাধানে দুই দেশ যৌথভাবে টহল শুরু করবে। তবে সীমান্তে পুঁতে রাখা মর্টার সেল ও আইইডির মতো বিস্ফোরক থাকায় এখনই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না।