রাজনীতিকে এবাদত হিসেবে নিয়েছেন উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকা মনোনীত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, অনেকেই রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নেন৷ আমি রাজনীতিকে এবাদত হিসেবে নিয়েছে৷ ইতোমধ্যে বড় কাজগুলো গুছিয়ে ফেলেছি৷ আশি শতাংশ কাজ শেষ৷ বাকি বিশ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ছয় মাস সময় লাগবে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জেলা নির্বাচন কমিশন চত্বরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি৷
এবার নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জকে নববধূরূপে সাজাতে চাই৷ যাতে সবাই দেখে বলে, এলাকাটা তো খুব সুন্দর। আমি যেদিন থাকবো না, মানুষ যেন আমার জন্য হাত তুলে দোয়া করে। তবে সবার আগে এবার মাদক বন্ধ করতে চাই। এটি আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়৷ প্রেস ক্লাবসহ সব সাংবাদিকের সহযোগিতা প্রয়োজন৷ পঞ্চায়েত ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলে সবাইকে সোচ্চার করতে চাই।
ঢাকায় ডিবি অফিসে যাওয়ার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি জাতির পিতার কন্যাকে ২১ আগস্ট মারার চেষ্টা করেছে। ১৬ জুন তো আমরা মারাই গেছি। সেদিন বোম ব্লাস্টে বিশজন ছেলে মারা গেছে। ইদানীংকালে শেখ হাসিনাকে মারতে বিদেশে অ্যাম্বুস করা হয়েছে। সজিব ওয়াজেদ জয়কে বিদেশে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ দেশে তো আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। যারা এই জিঘাংসার রাজনীতি করে, তাদেরকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এ বিষয়গুলোতে আমার কিছু তথ্য তাদেরকে দেওয়ার থাকতে পারে৷ আমাকেও কোনো সাজেশন দেওয়ার থাকলে তা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের৷ বিষয়টি এরকমই৷ এর বেশি আমার বলা উচিত হবে না।
নির্বাচনে বিএনপির আসা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন জানিয়ে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসার চেয়ে ভোটারদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাচ্ছি৷ তরুণ প্রজন্মের সবাই ভোট দিতে আসবেন, সাথে মুরুব্বিদের নিয়ে আসবেন৷
টানা দুইবারসহ এই আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান৷ ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির প্রার্থী কমান্ডার সিরাজুল ইসলামকে পরাজিত করেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে অবশ্য বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের কাছে পরাজিত হন শামীম ওসমান৷ আইনগত জটিলতায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শামীম ওসমানের সাথে তার একমাত্র পুত্র অয়ন ওসমান ছিলেন৷ নির্বাচনী আচরণবিধির কারণেই ভিড় এড়াতে নেতাকর্মীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি জানাননি বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন শামীম ওসমান৷
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ