প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আমাকে ক্ষমতায় চায় না বলেই বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।‘
তাছাড়া বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টিকে ‘আন্তর্জাতিক খেলার অংশ’ হিসেবে দেখছেন তিনি। বিষয়টি ঘিরে বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর পরিচালিত কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশের উন্নয়নবিরোধী অপতৎপরতা হিসেবে দেখছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, কী আন্তর্জাতিক খেলা চলছে।’
সোমবার (১৫ মে) যুক্তরাজ্য সফরকালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ উদ্বেগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ‘গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। এখন বিভিন্ন সংগঠন ও দেশ অপপ্রচার করছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ দেখাচ্ছে। তবে জোর দিয়ে বলতে চাই, শুধু বাংলাদেশেই ১৪ বছর ধরে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কাজ করছে। তাই আমরা উন্নতি করছি, যা অন্যদের সহ্য হচ্ছে না।’
বিবিসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না, হয়তো তারা আমার কাজ অব্যাহত থাকুক তা চায় না। এ জন্য এমন করেছে। আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা হয়তো গ্রহণ করতে পারছে না, এটা আমার অনুভূতি।’
যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে সব ধরনের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে তৈরি করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যে বাহিনীর ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তাদের পরামর্শেই ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। তাদের সকল প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। র্যাব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি খুবই অবাক করার মতো বিষয়।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি ১২টি প্রতিষ্ঠান মিলে এসব বক্তব্য দিয়েছে, কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেনি। আমি জানি না, কী আন্তর্জাতিক খেলা চলছে।’
প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলা ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ, বিচার বর্হিভূত হ্ত্যা, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, গণতন্ত্র এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন।
এমি/দীপ্ত নিউজ