আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে তাড়াহুড়ো করে নিজেদের প্রথম ম্যাচের দিন ভাড়া করা বিমানে মোস্তাফিজুর রহমানকে উড়িয়ে নিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। এরপর যা হচ্ছে তা নাটকই বটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিল্লির প্রচারণায় বাংলাদেশি পেসারের সরব উপস্থিতি থাকলেও প্রথম তিন ম্যাচের একটিতেও মোস্তফিজকে খেলায়নি দিল্লি।
প্রথম ম্যাচে ৫০ রানে হেরে যায় ডেভিড ওয়ার্নারের দল। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে সেই ম্যাচের একাদশেও উপেক্ষিত থাকেন মুস্তাফিজ। বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে দলে রাখা হয় প্রোটিয়া পেসার এনরিখ নরকিয়াকে। তিনি দুই উইকেট পেলেও নির্ধারিত ৪ ওভারে তিনি ৩৯ রান দেন। ফলে দলও হেরে যায় ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের সবচেয়ে বড় তামাশা ছিল তাদের তৃতীয় ম্যাচের আগে। শনিবার (৮ এপ্রিল) মাঠে নামার আগে দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে মুস্তাফিজের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘প্রপার ম্যাচ ডে ভাইবস ফিচার ফিজি।’ এর মাধ্যমে সেদিন রাতে রাজস্থানের বিপক্ষে দলে মুস্তাফিজের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য না ছিল না। তবে বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে ফিজ খেলবেন- এমন আশা তৈরি হয়েছিল। অথচ একাদশ ঘোষণার পর দেখা যায় সেই ম্যাচেও নেই মুস্তাফিজের নাম। কেবল একাদশই নয়, তাদের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের তালিকাতেও ফিজ ছিলো না ফিজ ।
দিল্লির এমন আচরণে বেশ ক্ষুব্ধ বাংলাদেশি সমর্থকরা। মুস্তাফিজকে নিয়ে দেওয়া দিল্লির ওই পোস্টে সমর্থকদের হতাশা ও ক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সেখানে দিল্লি বাংলাদেশি দর্শকদের ‘আবেগ নিয়ে খেলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। অনেকের কমেন্ট ছিল এরকম, ‘দিল্লি ক্যাপিটাল বি লাইক: পেইজের রিচ বাড়ানো দরকার। যাই মুস্তাফিজের একটা পিক আপলোড দিয়ে আসি!’
আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর এমন আচরণ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলাদেশি দর্শকদের সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর নজির দেখা গেছে। তাই অনেক দর্শকের অভিমত, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের খেলায় নেওয়ার চেয়ে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর রিচ বাড়ানোতেই বেশি মনোযোগ।
আল/দীপ্ত সংবাদ