এই উদ্যোগ বেশ পরিবেশবান্ধব বলে মনে করেন মানব কম্পোস্টিং এর সমর্থকরা। তবে, মানবদেহকে গৃহস্থালির বর্জ্য হিসেবে গণ্য করা উচিত নয় বলে এর সমালোচনা করেছেন অনেকে।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বড় বড় শহরে কবরস্থানের বা নতুন করে কবর দেয়ার সংকট তৈরি হয়েছে। প্রচলিত রীতিতে কবর দেয়ার পরিবর্তে মানব শরীর দিয়ে কম্পোস্ট বা জৈব সার তৈরির পদ্ধতিকে বিকল্প হিসেবে দেখছে অনেক দেশ। জৈব সার তৈরির জন্য মৃতদেহ ঘেরা জায়গায় কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের পাতা ও খড় ঘাসের মতো কিছু উপকরণ দিয়ে প্রায় এক মাস রাখা হয়। ধীরে ধীরে সেটি পচন ধরে এবং জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপ প্রয়োগ করা হয়। এরপর স্বাভাবিকভাবেই মৃতদেহ জৈব সারে পরিণত হয়।
মৃতদেহ সারে পরিণত হওয়ার পর, সেই মাটি তার প্রিয়জনদের দেয়া হয়, যাতে তারা ফুলগাছ, সবজির চারা বা বৃক্ষ রোপণ করতে পারেন।
গ্রীন ইসপ্রিংস প্রাকৃতিক কবরস্থান সংরক্ষনের ম্যানেজার বলেন “প্রাকৃতিক সমাধি যে কারো জন্য বড় একটি সুযোগ, কারন এতে শরীরকে গ্রহের উপকারে লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়। এটি প্রকৃতির সংরক্ষণে থাকে, যা সহজে মাটিতে মিশে যায়।”
যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রিকম্পোজ জানিয়েছে, মানবশরীর এক টন কার্বন সংরক্ষণ করতে পারে।
একজন মৃতের পিতা বলেন “আমার মেয়ে আমার আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। আমি মনে করি, সে মিশে আছে এই প্রকৃতিতে, কারন তার শরীরকে আমি প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষন করি।”
তবে এর সমালোচনাও করেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে ওয়াশিংটনে প্রথম এই পদ্ধতি অনুমোদন দেয়া হয়। পরে কলোরাডো, ওরেগন, ভার্মন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে অনুমোদিত হয়। ৩১ ডিসেম্বর ষষ্ঠ রাজ্য হিসেবে নিউইয়র্কে এটি অনুমোদন দেয়। সুইডেনে মানব জৈব সার বৈধ।