ম্যানুয়াল পদ্ধতির চেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভেকল মাউন্টেন মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করে মশা দমন সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতি। গত এক দশকে মশা নিয়ন্ত্রণে শতভাগ সফল হয়েছে তারা। আর সেই পদ্ধতিই কাজে লাগাতে চাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে মেট্রোপলিটন গভার্নমেন্টের ডেপুটি মেয়র কিম ইউ সিয়াংয়ের সাথে সিটি ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক এক বৈঠক শেষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা জানান।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘৩০ বছর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ায় একসময় প্রচুর মশা ছিল। কিন্তু তারা অটোমেশন ও ম্যাকানাইজ পদ্ধতির মাধ্যমে এটি মোকাবেলা করেছে। তখনও তারা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্প্রে করেনি। যেটি আমেরিকার মায়ামিতে দেখেছি এখানে এসেও তাই দেখলাম, একই পদ্ধতি। তারা যাই করছে সব ম্যাকানাইজ পদ্ধতিতে করছে। তারা বার বার বলছে, ম্যাকানাইজ পদ্ধতির কথা, তাই আমরাও সে পদ্ধতি অনুসরণ করবো। আমাদের মশক দমনে আরো পরিবর্তন আনতে হবে।‘
এরই মধ্যে ২০টি আধুনিক ভেকল মাউন্টেন মেশিন আনার কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র।
এই বৈঠকে কিভাবে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স তারা বাস্তবায়ন করেছে ও সিউল সিটি কিভাবে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল মেট্রোপলিটন গভার্নমেন্টের ডেপুটি মেয়র কিম ইউ সিয়াং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ডিএনসিসি মেয়রের সিউল আগমনে ঢাকা ও সিউলের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
বৈঠক শেষে ডিএনসিসি মেয়র সিউল সিটি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অনু/দীপ্ত সংবাদ