আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান কেড়ে নেবে বলে মনে করছে আইএমএফ। নতুন এক বিশ্লেষণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, এতে চাকরিখাতে বৈষম্য বাড়বে।
বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আইএমএফ জানায়, শীঘ্রই উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে এআই প্রায় ৬০ শতাংশ চাকরির ওপর প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে অর্ধেক ক্ষেত্রে কর্মীরা এআই–এর ইন্টিগ্রেশন থেকে উপকৃত হওয়ার আশা করতে পারে যা তাদের উৎপাদনশীলতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অন্যান্য ক্ষেত্রে এআই বর্তমানে মানুষের দ্বারা সম্পাদিত মূল কাজগুলো সম্পাদন করার ক্ষমতা রাখবে। এটি শ্রমের চাহিদা হ্রাস করতে পারে, মজুরিতে প্রভাব ফেলতে পারে এমনকি চাকরির বাজারও ধ্বংস করতে পারে।
তবে আইএমএফ বলছে, এআই নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মাত্র ২৬ শতাংশের চাকরির ওপর প্রভাব ফেলবে। এআই–এর সুবিধা কাজে লাগানোর মতো অবকাঠামো বা দক্ষ জনবল অনেক নিম্ন আয়ের দেশের নেই। যা সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তোলার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: চ্যাট জিপিটির কাছে ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর ১০ দেশ
আইএমএফের মতে, উচ্চ–আয়ের এবং তরুণ কর্মীরা এআই–এর মাধ্যমে তাদের মজুরিতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধি দেখতে পেলেও নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারেন।
এরইমধ্যে নানা দেশ এই প্রযুক্তির অপব্যবহাররোধে নানা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। গত মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা এআই ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বের প্রথম ‘এআই অ্যাক্ট‘ প্রস্তাব তুলেছে। যে প্রস্তাবের উপর এ বছরের শুরুর দিকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভোট হতে পারে। তবে তা অন্তত ২০২৫ সালের আগে কার্যকর হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনও তাদের নিজস্ব এআই নির্দেশনা প্রকাশ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: খবর পড়ছে রোবট লিসা
এসএ/দীপ্ত নিউজ