ইউনেসকোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেলো ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশ ঘুরতে বা কাজে আসা বিদেশীদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম বাহন হলো রিকাশা। তিন চাকার এ যানের অন্যতম বৈশিষ্ট এর রঙ্গিন কারুকাজ। রিকশা এতটাই আকর্ষণীয় যে, ইউরোপে নেয়া হয় প্রদর্শনীর জন্য।
বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ রিকশার পেছনে একসময় আঁকা হতো নায়ক–নায়িকাদের ছবি। এছাড়াও হাতে আঁকা ছবিতে থাকত বিভিন্ন দৃশ্যপট। আবার সেই রিকশাচিত্রের ধরণটাই একসময় ব্যবহার করা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের পোস্টারে। এরপর ফ্যাশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুসঙ্গে স্থান করে নেয় রিকশা প্রিন্ট।
এবার ইউনেসকোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেলো ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। এক্স বার্তায় বুধবার এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
বিগত তিন বছর ধরে রিকশাকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতির জন্য কাজ করে আসছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে চূড়ান্ত আবেদন করা হয়। আর এবার মিললো তার স্বীকৃতি।
এর আগে ২০০৮ সালে বাউলসংগীত, ২০১৩ সালে জামদানি শাড়ি ও ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেসকোর স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের শীতল পাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থাটি।
আল/ দীপ্ত সংবাদ