ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে একদল যুবক প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করে একটি মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেছে, যাতে তাদের ভাগ্যে ভাল বউ জুটে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।
তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন, ওই অঞ্চলের আর্থ–সামাজিক সংকটের একটি চিত্রও ফুটে উঠেছে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে।
প্রথমে পদযাত্রাটি শুরু করেছিল ৩০ জনের নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত এতে অংশ নিয়েছে ৬০ জনের মতো। এরা সবাই ওই রাজ্যের মান্ডিয়া জেলার কৃষক।
পদযাত্রায় অংশ নেওয়া একজন মাল্লেশা ডিপি বলেন, ‘যখন প্রেম করার বয়স ছিল তখন আমি কাজ করেছি। অর্থ আয় করেছি। এখন আমার সব আছে কিন্তু বিয়ে করার জন্য পাত্রী পাচ্ছি না।’ অথচ তার বয়স মাত্র ৩৩। তবে তিনি মনে করেন, নিজ এলাকায় বিয়ের জন্য সঠিক বয়স তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন।
তবে এখনকার পাত্র–পাত্রী বৈষম্যের জন্য অনেকে পুরুষতন্ত্রকেও দোষারোপ করেন। এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা যখন জন্মেছিলেন তখনই ওই অঞ্চলের নারী–পুরুষ অনুপাতের বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছিল। ১৯৯৪ সালে শিশু জন্মের আগে লিঙ্গ পরিচয় জানা নিষিদ্ধ করলেও গর্ভপাত অব্যাহত ছিল বলে জানিয়েছেন একজন অধিকারকর্মী। তিনি বলেছেন, ‘এখনো স্কুলে তাকালে সেখানে খেলার মাঠে ২০টি মেয়ের সঙ্গে ৮০টি ছেলে দেখবেন।’
আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে সেখানে এক হাজার পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ছিল ৯৬০। ২০০১ সালে এই অনুপাত ছিল এক হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯৭১।
অন্যদিকে নারীদের পছন্দেও পরিবর্তন এসেছে।
জয়শীলা প্রকাশ মান্ডিয়ার হলেও তিনি এখন বাস করেন ব্যাঙ্গালুরুতে। সেখানে পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি বলেন, তিনি গ্রামে প্রকৃতির কাছে থাকতেই পছন্দ করেন। তবে অনেক নারী শহরমুখী হচ্ছেন আরো স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ