বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সকল জল্পনা কল্পনা শেষ করে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় তিনিই যে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন, তা প্রায় নিশ্চিত।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা শরফুদ্দিন আনছারী ও মা খায়রুন্নেসা। ১৯৬৬ সালে তিনি এসএসসি এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে স্নাতকোত্তর এবং পাবনার একটি কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি কারাবরণ করেন।
তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়। দলের সর্বশেষ কাউন্সিলে তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তিনি।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে সন্তানের জনক ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা যুগ্মসচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক উত্থাপিত কথিত পদ্মাসেতু সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেন এবং বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের মিথ্যা ও অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণে সমর্থ হন। তার প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদন কানাডার আদালত কর্তৃক সমর্থিত হয়।