বাস চালককে মারধোর, হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে বাস শ্রমিকদের দুই গ্রুপ ও সন্ধ্যায় মাহিন্দ্রা চালকদের ওই সংঘর্ষের কারণে রবিবারও ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে টার্মিনালে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
টার্মিনাল এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ‘দুই পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছি। টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।’
এর আগে শনিবার দুপুরে ২ ঘণ্টাব্যাপী শ্রমিকরা দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় ঢাকা–বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করায় সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছে। জড়িতদের বিচার দাবিতে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ফের বিক্ষোভ ও ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা।
দ্বিতীয় দফা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে মাহিন্দ্রা চালকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বাস শ্রমিকরা। এ সময় দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত বাস ও মাহিন্দ্রা ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বলছে, নথুল্লাবাদ টার্মিনাল কেন্দ্রীক পরিবহন সেক্টরের শ্রমিক নেতাদের মধ্যে দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। তাদের মধ্যে থাকা বিরোধের সূত্র ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। ফলে টার্মিনালের ভেতরে ও বাইরে সংঘর্ষ–ভাঙচুর, হাতাহাতির ঘটনা ঘটিয়েছে শ্রমিকরা।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ