চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউবের কাজ শেষ। এ উপলক্ষ্যে আজ অনুষ্ঠান হবে। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য টিউবের কাজ শেষে, জানুয়ারির শেষ দিকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ এই টানেল।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল। এক সময়ের স্বপ্ন এখন বাস্তবতা। দক্ষিণ এশিয়ার নদীর তলদেশে প্রথম সুড়ঙ্গ পথ- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। টানেলের দুটি টিউব বা সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক চার পাঁচ কিলোমিটার। খনন শেষ হয়েছে আগেই। এর মধ্যে আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গামুখী সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ। চালুর প্রস্তুতি হিসেবে ভেতরে চলছে নির্মাণ সরঞ্জাম বোঝাই ট্রাক, পিকআপ এবং প্রকৌশলীদের মাইক্রোবাস।
দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপনী অনুষ্ঠান করবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারামুখী উত্তর টিউবের কাজও চলছে পুরোদমে। এটি শেষ হওয়ার পরই খুলে দেয়া হবে যান চলাচলের জন্য। টানেলের দুই প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতার সাব স্টেশন। থাকছে প্রায় ছয় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।
২০১৫ সালে অনুমোদনের দুই বছর পর শুরু হয় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ।
ওয়ান সিটি টু টাউন, আওয়ামী লীগ সরকারের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেল বাস্তবায়নে কাজ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে দক্ষিণ অংশের একটি টিউবের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার মনে করছে, দুইটি টিউবের কাজ সম্পন্ন হলে নদীর দুই প্রান্তের মানুষের মধ্যে যেমন সংযোগ স্থাপন হবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই টানেল