ফেনীর দাগনভূঞা আহমদিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ও দাগনভূঞা উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ইমাম উদ্দিন মিয়াজী ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুন ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম সম্মেলন ২০২২–২৩ এর যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে তিনি জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, জেলায় ইমাম সম্মেলনে ইমাম বাচাইয়ে ইমাম উদ্দিন মিয়াজী ১ম স্থান অধিকার সহ শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হন। ২য় স্থান অধিকার করেন মাওলানা নাছির উদ্দিন, ৩য় স্থান অধিকার করে মাওলানা আবু সাঈদ।
দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন এর দেবরামপুর গ্রামের আবদুল আজিজ মিয়াজি বাড়ির বাসিন্দা ও দাগনভূঞা আহমাদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন ও হাফেজা শিরিনা আক্তারের ৫ম পুত্র।
তিনি দাগনভূঞার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দাগনভূঞা আহমাদিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক, মিফতাহুল জান্নাত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং আহমাদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম।
ইতোপূর্বে মিয়াজী চট্টগ্রাম ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ৮২৯নং দলের চিফ মনিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইমাম প্রশিক্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করেন। তিনি করোনাকালীন দুঃসময়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আলাদা আলাদা স্বারক নাম্বারে করোনা লাশ দাফন–কাফনের কাজ করে মানবিকতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত ইমাম উদ্দিন মিয়াজি বলেন, ‘আমি শ্রেষ্ঠ ইমাম হওয়ায় প্লিজ একথা কেউ ভাববেন না আমি অনেক বড় জ্ঞানী বা আমার অনেক যোগ্যতা। এটি নিঃসন্দেহে ভুল, আমার কোন জ্ঞান নেই, কোন যোগ্যতা নেই, শুধু আল্লাহ যতটুকু চেয়েছেন ততটুকুই। আমার মধ্যে মুর্খতা অযোগ্যতা ব্যর্থতা কত বেশী তা আমিই জানি। সত্যিকারেই আমি গোনাহগার খুবই নগন্য ছোটোখাটো মানুষ। রাব্বে কারীমের কাছে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারলে সেটাই হবে আসল শ্রেষ্ঠত্ব। তবে আমি বিশ্বাস করি সম্মান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, আলহামদুলিল্লাহ!’
আল/দীপ্ত সংবাদ