২০১৯ সালের পর থেকে জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছিলেন আফিফ হোসেন। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন রেকর্ড টানা ৬১ ম্যাচ। কিন্তু হুট করেই তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
রবিবার (২৬ মার্চ ) সংবাদ সম্মেলনে তার কথায় স্পষ্ট বোঝা গেলো বাঁহাতি এই ব্যাটারের দলে ফেরাটা সহজ হচ্ছে না।
সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজে একাদশ থেকে বাদ পড়েন আফিফ হোসেন। পরবর্তীতে জাতীয় দল থেকেও তাকে বাদ দেওয়া হয়। এরপরই চলতে থাকে আলোচনা-সমালোচনা। তবে মিডল অর্ডার এই ব্যাটারের বাদ পড়ার কারণ জানিয়েছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
হাথুরু বলছেন, ‘অবশ্যই। তার চেহারার কারণে নয়, পারফরম্যান্সের জন্যই বাদ পড়েছে। যে কেউ বাদ পড়লেই সেটা পারফরম্যান্সের কারণে হয়ে থাকে। কখনও কখনও আবার কৌশলগত কারণে। যদি আমরা আলাদা কিছু করতে চাই, আলাদা কাউকে দেখতে চাই; এটাও কখনও কখনও কারণ হয়।’
তবে দল থেকে বাদ পড়েই যে দলের দরজা আফিফের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে তা নয়। ভালো পারফর্ম করলে অন্যদের মতো আফিফও দলে ডাক পাবেন বলে জানিয়েছেন হাথুরু। অবশ্য আফিফের সাথে এসব নিয়ে কথা বলেছেন এই টাইগার ওস্তাদ। পুনরায় দলে ঢুকতে করণীয় সম্পর্কেও তিনি বাতলে দিয়েছেন।
টাইগার কোচ আরও বলেন, ‘সে দলের বাইরে আছে এখন। তার এখন যা করা দরকার, তাই করতে হবে। গিয়ে রান করতে হবে। আমি তার সঙ্গে কিছু জায়গায় উন্নতির ব্যাপারে কথা বলেছি। যদি সে তা করতে পারে, তাহলে দলের প্রয়োজনে সবার মতোই সেও সুযোগ পাবে।’
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয় আফিফের। ৬২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তিন হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২১.২৫ গড়ে করেন ১ হাজার ২০ রান। তবে স্ট্রাইক রেটটা ১২০.২৮ রেখেছে বড় প্রশ্ন।
আল/দীপ্ত