রাজধানীর খিলক্ষেতে পাওনা টাকা চাওয়ায় মো. ইকরাম হোসেন মোল্যা নামের এক যুবক হত্যাকান্ডে শান্ত ও সিদ্দিক নামের দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৭ মে) গুলশান বিভাগের ডিসি মো. আ. আহাদের নির্দেশনায়, এডিসি ক্যান্টনমেন্ট ইফতেখায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে দুটি টিম পুরো অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।
আসামি শান্ত রবিবার (৭ মে) বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৫ মে) বিকেল ৩টায় খিলক্ষেত থানার ডুমনী এলাকার মো. ইকরাম হোসেন মোল্যা নামে এক যুবকের নিখোঁজ সংক্রান্তে জিডি করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে ভিকটিমের পরিবার জানালে খিলক্ষেত থানা পুলিশ তৎপর হয় ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য।
পরদিন সকালেই ডুমনী এলাকার কাউন্সিলর গলি ছাড়িয়ে বালুচর এলাকায় একটি মৃতদেহ পাওয়া গেলে ভিকটিমের পরিবার তা শনাক্ত করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপ পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় এডিসি ক্যান্টনমেন্টের নেতৃত্বে দুটি টিম একসাথে কাজ করতে থাকে এই রহস্য উদঘাটনের জন্য।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতের অবস্থান শনাক্ত করা হয় এবং দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে খাতা সেলাইয়ের ভ্রমর, ভিকটিমকে হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত কাটার ও ১ টি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম ইকরাম শান্তকে বালুর ব্যবসার জন্য ২ লক্ষ টাকা দেয়ার পর সঠিকভাবে লাভ না দেয়ায় ভিকটিম তার অর্থ ফেরত দিতে বললে অভিযুক্ত শান্ত তা না দেয়ার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। অপরদিকে সিদ্দিকের মাকে তার বেপরোয়া জীবনযাপন নিয়ে বিচার দেয়ায় অন্য অভিযুক্ত সিদ্দিক ভিকটিমের উপর ক্ষেপে ছিল যার প্রেক্ষিতে সিদ্দিকের সাথে তার মায়ের ঝগড়া হয় এবং সিদ্দিক গত পাঁচদিন ধরে বাসার বাইরে অবস্থান করতে থাকে।
অভিযুক্ত শান্ত ও সিদ্দিক তাদের ক্ষোভের প্রেক্ষিতে ভিকটিম ইকরামকে হত্যা করার পরিকল্পনা সাজায় এবং গত বৃহস্পতিবারে শান্ত ভিকটিমকে ফোন করে বালুচর এলাকায় ডেকে নিয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে।
পুলিশ আরও জানায়, অপর আসামি সিদ্দিকের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এমি/দীপ্ত সংবাদ