পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গড়ে তোলা আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি শের–ই–বাংলার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘাঁটি উদ্বোধন করবেন।
একইসঙ্গে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত চারটি পেট্রোল ক্রাফট ও চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটিরও (এলসিইউ) কমিশনিং করবেন তিনি।
গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কমিশনিং এর পর নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ঘাঁটির অধিনায়ক কমডোর এম মহব্বত আলীর হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেবেন। এরপর বাহিনীর রীতি অনুযায়ী নামফলক উন্মোচন করা হবে।
খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেডের উদ্যোগে নির্মিত চারটি পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন হলো– শহীদ দৌলত, শহীদ ফরিদ, শহীদ মহিব্বুল্লাহ ও শহীদ আখতার উদ্দিন। আর চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি হলো– ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইন। কমিশনিংয়ের পর এসব জাহাজ দিয়ে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নৌবাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পায়রাবন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় এই ঘাঁটি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে। পাশাপাশি নৌ সদস্যদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায়, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার দেশি ও বিদেশে ব্যবসা–বাণিজ্য নিরাপত্তায় একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে এই ঘাঁটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর ‘বানৌজা শের–ই–বাংলা’ ঘাঁটির নামফলক উম্মোচিত হয়। আধুনিক সব সুবিধায় ‘বানৌজা শের–ই–বাংলা’ ঘাঁটিতে গড়ে তোলা হয়েছে নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এর পাশাপাশি অপারেশনাল কার্যক্রমের সুবিধার্থে প্রশাসনিক ভবন, এভিয়েশন সাপোর্ট ও হ্যাঙ্গার সুবিধা মাল্টিপারপাস শেড, বিভিন্ন রিপেয়ার ও মেইন্টেন্যাস ওয়ার্কশপ।
এছাড়া ঘাঁটিতে এভিয়েশন সুবিধা, ডাইভিং স্যালভেজের কমান্ডো পরিচালনা সম্বলিত ইউনিট, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে।
আফ/দীপ্ত নিউজ