নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ইয়ারপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমা আক্তার (২২) নামের এক নারীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। পরে তার পেটের ভিতর করে বিশেষ কায়দায় বহন করা ৩২৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে তার বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক সীমা আক্তার কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইটকং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া গ্রামের ফকির আহমদের মেয়ে ও ইসমাইল হোসেন প্রকাশ শাহ আলমের স্ত্রী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য মতে, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে নোয়াখালী সদরের বিনোদপুর এলাকার উদ্দেশ্যে একজন নারী আসছে এমন তথ্য পেয়ে সোমবার রাতে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ইয়ারপুর এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। এসময় ফেনী থেকে মাইজদীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাঁধন পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাস থেকে সীমা আক্তার নামের ওই নারীকে তার শিশুসহ আটক করা হয়। পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ বা দেহে তল্লাশি চালিয়ে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে তার পেটের মধ্যে ইয়াবা রয়েছে।
পরবর্তীতে তাকে মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এনে এক্সরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের সহযোগিতায় ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ৭২টি প্যাকেটে ইয়াবা জব্দ করা হয়, প্রতি প্যাকেটে ৪৫ পিস করে মোট ৩২৪০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমা আক্তার বিশেষ কায়দায় পেটে করে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। ইয়াবার এ চালানটি বিনোদপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে হস্তান্তর করতে সে নোয়াখালীতে আসে।
অভিযুক্ত সীমা এবং বিনোদপুরের ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এমি/দীপ্ত