পুষ্টিগুণের কারণে দুধকে আদর্শ খাবার বল হয় । এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, বি২, বি১২, পটাশিয়াম এবং সেলেনিয়ামের মতো উপকারী উপাদান। হাড় শক্তিশালী করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে দুধ। এটি এমন এক পানীয়, যা শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষই খেয়ে থাকেন।
তবে আজকাল পুষ্টিসমৃদ্ধ এই খাবারেও নানা ভেজাল মেশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। দুধের সঙ্গে কখনও পানি, কখনও অন্য কোনও ক্ষতিকারক উপাদান মিশিয়ে দুধের পরিমাণে বাড়ানো হচ্ছে। তবে বাজারজাত সব দুধেই যে ভেজাল মেশানো থাকে, তা নয়।
তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে একবার পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত যে দুধে ভেজাল মেশানো আছে কিনা। আর এই পরীক্ষা বাড়িতেই করা সম্ভব।
দুধে পানি মেশানো হলে : দুধে অনেকেই পানি মেশান। এতে কারও শরীরের তেমন একটা ক্ষতি না হলেও দুধের পুষ্টিগুণ যে কমে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। দুধে পানি মেশানো আছে কিনা, তা বোঝার সহজ একটা উপায় আছে। ছোট একটা বাটিতে অল্প পরিমাণে দুধ নিয়ে কোনও ঢালু জায়গায় ফেলুন। দুধ যদি খুব তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন তাতে একটু বেশি মাত্রাতেই পানি মেশানো আছে। কারণ খাঁটি দুধ এত তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যায় না।
আরেকভাবেও দুধে পানি মেশানো আছে কিনা, তা বুঝে ফেলা সম্ভব। এক্ষেত্রে অল্প একটু দুধ চকচকে, ঢালু জায়গায় ফেলুন। দুধে যদি পানি মেশানো না থাকে, তাহলে তা দুধ গড়িয়ে যাওয়ার সময় দাগ ছেড়ে যাবে। আর যদি দুধ কম, পানি বেশি থাকে, তাহলে কোনও দাগই হবে না।
দুধে ডিটারজেন্ট মেশানো হলে: অনেকে দুধে ডিটারজেন্টও মেশান। এই পরীক্ষার জন্য ৫–১০ মিলি দুধে সম পরিমাণে পানি মিশিয়ে ভালো করে একটু নাড়িয়ে নিন। মিনিট খানেক বাদে যদি দেখেন দুধের উপরের অংশে সাবানের ফেনার মতো তৈরি হয়েছে তাহলে বুঝবেন আপনি ভেজাল দুধ কিনে এনেছেন।
দুধে ‘ইউরিয়া‘ মেশানো হলে: দুধ কিনে আনার পর তাতে ইউরিয়া মেশানো আছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি। একটা পাত্রে অল্প পরিমাণে দুধ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সোয়াবিন পাউডার মিশিয়ে নিন। কিছু সময় পর মিশ্রণটা ভালো করে নাড়িয়ে নিয়ে তাতে একটা লিটমাস পেপার চুবিয়ে দিন। যদি দেখেন লিটমাস পেপারটা ধীরে ধীরে নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে তাতে ইউরিয়া মেশানো রয়েছে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ