শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে পড়ে থাকা দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ অবশেষে সৎকার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে পৌরসভার মনোহর বাজার শ্মশান ঘাটে মরদেহ দুটি সৎকার করা হয়। দুই বছরের অধিক সময় ধরে পড়ে থাকা মরদেহ দুটির রক্ষণাবেক্ষণে সরকারকে গুনতে হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টাকা।
ওই দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন– সতেন্দ্র কুমার ও বাবুল সিং। এদের মধ্যে সতেন্দ্র কুমার হরিয়ানা রাজ্যের সাতুরা সুলতানপুর জেলার চেয়াপুর থানার চন্দ্রপালের ছেলে। আর বাবুল সিংয়ের বাড়ির কোনো ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২২ সালে ১৮ মে ভারতীয় নাগরিক বাবুল সিং ও ৮ অক্টোবর সত্যেন্দ্র কুমারকে পদ্মা সেতু প্রকল্প জাজিরার নাওডোবা এলাকা থেকে আটকের পর কারাগারে পাঠান আদালত। ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি সত্যেন্দ্র কুমার ও ১৫ এপ্রিল মারা যান বাবুল সিং। এরপর থেকেই মরদেহ দুটি সদর হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষণ ছিল। পরে বাংলাদেশ–ভারত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর তাদের সিদ্ধান্তক্রমে কারা অধিদপ্তরের সুপারিশ অনুযায়ী মরদেহ দুটির সৎকারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সৎকারের সময় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারা কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনিক পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. একরামুল হক বলেন, দুইজন ভারতীয় নাগরিক শরীয়তপুর জেলা কারাগারে অন্তরিন ছিলেন। যারা ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও এপ্রিলে মারা যান। যাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়েছিলো। বিভিন্ন চিঠিপত্র চালাচালি এবং সংবাদ প্রচারের পর অবশেষে বাংলাদেশ–ভারত স্বরাষ্ট্র মমন্ত্রনালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও কারা অধিদপ্তরের সুপারিশক্রমে সৎকার সৎকার সম্পন্ন করা হয়৷
সালাউদ্দিন/আল