জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছেন ফেনীর দাগনভূঞার ফখরুল ইসলাম শিপন (৪৫) আর সেখানে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি। শিপন উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের ওমরাবাদ গ্রামের আমিন বাড়ির মৃত আবদুস সাত্তারের ৫ম ছেলে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। রাতে মরদেহ বাড়ি এসে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পরিবার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নিজ বাড়ির সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শিপনের মরদেহ দাফন করা হবে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ফোর্ট এলিজাবেথ অঞ্চলের লিভিংস্টোন হাসপাতালে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ ১৭ বছর পূর্বে পাড়ি জমান দক্ষিণ আফ্রিকায়। এর মধ্যে ২০১২ সালে দেশে এসে নিজ উপজেলায় বিয়ে করে পারিবারিক জীবন শুরু করেন। কয়েক মাস পর জীবিকার তাগিদে স্বজনদের রেখে আবারও ফিরে যান সেই প্রবাসে। বছর যেতেই কণ্যা সন্তানের পিতা হন তিনি। একপর্যায়ে নিজে প্রবাসে থাকলেও বিচ্ছেদ হয়ে যায় স্ত্রীর সঙ্গে। বিয়েও হয়ে যায় অন্যত্র।
সর্বশেষ ২০২২ সালের আগস্টে আবারও দেশে আসেন তিনি। পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের আলামপুরের এক মুসলিম পরিবারের পাত্রীর সঙ্গে। তারপর আবারও ফিরে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়।
ট্রাস্ট লাইফ ইন্সুরেন্সের সিনিয়র ডিএমডি মো. মিজানুর রহমান জানান, বিয়ের এক বছর মাথায় স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে শিপনের স্ত্রী। একই সাথে পিতার মৃত্যর সংবাদে কেঁদে কেঁদে পরিবেশ ভারী করে তুলছে তার ১০ বছর বয়সী একমাত্র কণ্যাও।
আবদুল্লাহ আল–মামুন/পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ