জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা–কর্মচারীকে সিনিয়রিটি ও সুযোগ–সুবিধাসহ পুনরায় চাকরিতে বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে উচ্চ আদালতের এক নির্দেশনার আলোকে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, তা আইনগতভাবে যথাযথ ছিল না। এ কারণে তাদের পূর্বের সিনিয়রিটি ও চাকরিজীবনের যাবতীয় সুযোগ–সুবিধা বহাল রেখে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিয়োগ হয়েছিল ২০০৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে। তখনকার নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে নানা অভিযোগ ও রাজনৈতিক চাপের কারণে ২০১১ সালে উচ্চ আদালতের এক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৯৮৮ জনকে চাকরিচ্যুত করে।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এবং একাধিকবার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। সর্বশেষ, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনর্বহাল শুনানির আদেশ দেন আদালত, যার চূড়ান্ত রায় আজ ঘোষিত হলো।
রায়ের সময় উপস্থিত থাকা চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের অনেকে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা বঞ্চনার শিকার হয়েছি। চাকরি হারিয়ে পরিবার, সন্তানদের ভরণ–পোষণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্ট আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।‘
অনেকে দাবি করেন, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরি হারান। আজকের রায়কে ‘ঐতিহাসিক ও ন্যায়ের প্রতিফলন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তারা।