চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলার ১১৪ তম আসরে চকরিয়ার জীবন বলিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন কুমিল্লার শাহজালাল বলি। নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিতে এবারের এই বলিযুদ্ধে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৬৪ জন বলি।
জয় পরাজয়ের আনন্দ ও হতাশা ভুলে ঐতিহ্যের অংশীদার হতে পেরেই খুশির কথা জানান বলিরা। আর আয়োজকরা বলছেন, দিন যত যাচ্ছে বলি খেলার প্রতি চট্টগ্রামের মানুষের আবেগ ততই বাড়ছে। আগামীতে আরো যাকজমক করে বলি খেলার আয়োজন করার আশাও জানান তারা।
চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দানে লাখো মানুষের ঢল। মাঠের মাঝখানে ৫ ফুট উচুতে বাশ, কাঠ ও বালি দিয়ে নির্মিত বিশেষ ধরনের এই মঞ্চের দিকেই নজর সবার। কারণ এই মঞ্চেই চলছে জব্বারের বলী খেলার ১১৪ তম আসর।
খেলার প্রথম বাউটে অংশ নেন নতুন ও তরুণ বলিরা। এমনকি ৫০ বছর ধরে অংশ নেয়া বৃদ্ধ বলিরাও অংশ নেন এই মল্লযুদ্ধে। খেলায় জয়–পরাজয় থাকলেও অংশ নিতে পেরেই খুশি তারা।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী এই বলী খেলাকে কেন্দ্র করে লালদিঘির আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বসেছে লোকজ মেলা। আয়োজকরা বলছেন, জব্বারের বলী খেলা এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে মানুষের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ততই বাড়ছে।
চ্যালেঞ্জিং বাউট বা সেমিফাইনালে সৃজন চকমা ও আব্দুন নুরকে হারিয়ে ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন জীবন বলীর মুখোমুখি হন শাহজালাল বলী।সেমি ফাইনালে দীর্ঘসময় দম ধরে রাখলেও ফাইনালে এসে কুমিল্লার শাহজালাল বলীর কাছে এক মিনিটেই ধরাশায়ী হন গতবারের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলী।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাঙ্গালী যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করতেই ১৯০৯ সালে এই মল্মযুদ্ধ প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছিলেন অব্দুল জব্বার। সেই থেকে বাংলা নববর্ষকে উপলক্ষ্য করে ১২’ই বৈশাখ লালদিঘির ময়দানে বসে বলী খেলার এই আসর।
এমি/দীপ্ত