চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বে মেয়ে মর্জিনা খাতুন (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে বাবা আজিজুল ইসলাম (৭০)।
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত দেড় টার দিকে নিজ বাড়ি বাঘাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে নাতনি রেক্সোনা খাতুন (১৩) গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক বাবা আজিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে বাবা মেয়ের মধ্যে সমিতির ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে বাক–বিতন্ডা হয়। পরে বাবা আজিজুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত দেড়টার পর ফিরে আসে। বাড়িতে ফিরে এসে বাবা আজিজুল ইসলাম মেয়ে মর্জিনা খাতুনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় নাতনী বাধা দিতে গেলে তাকে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা মা–মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মুস্তাফিজুর রহমান মর্জিনা খাতুনকে মৃত ঘোষনা করেন। স্বামী পরিত্যক্তা মর্জিনা খাতুন বাবার বাড়িতেই বসবাস করতেন।
কার্পাসডাঙ্গা ফাড়ির ইনচার্জ এসআই ইমরান হােসেন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ধারাল অস্ত্রের কোপে মেয়ে মর্জিনা ও নাতনি রেক্সোনা গুরুতর জখম হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মর্জিনা মারা যান। আসামী গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ