চট্টগ্রামের জনপ্রিয় টেরিবাজার রোজার শুরুতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে। শতবছরের ঐতিহ্যবাহী এ পোশাকের বাজারে ঈদকে ঘিরে প্রায় হাজার কোটি টাকার বেশি বিকিকিনির আশা বিক্রেতাদের।
বন্দরনগরীতে পোশাক কেনাকাটার জন্য নারী পুরুষ সকলের পছন্দের র্শীষে টেরিবাজার। বেশ কয়েকটি মার্কেটের সমন্বয়ে পাইকারি এ বাজারটি রোজার শুরু থেকেই জমজমাট হয়ে উঠেছে।
আমদানি করা কাপড়ের পাইকারি বাজার হওয়ায় এখানে বেচাবিক্রি শুরু হয় শবে বরাতের পর থেকেই। নারী পুরুষের বাহারি ডিজাইনের দেশি–বিদেশি পোশাকের সমারোহ থাকে টেরিবাজারে। বিভিন্ন উপজেলা থেকেও এখানে আসেন ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা জানান, কম দাম থেকে শুরু করে বেশি দামের সব কিছু আছে, মোটামুটি পছন্দসই।
পছন্দের শীর্ষে আছে বিদেশি থ্রি পিস গুল আহমেদ, সাদা বাহার, বিন সাইদ ব্রান্ডের পোশাক। তুলনায় পিছিয়ে দেশি ব্র্যান্ড।
একজন বিক্রেতা জানান, আল্লাহর রহমতে ঈদের অনেক আগে থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে, তার মধ্যে আমাদের ব্রান্ডের অনেক কাতান রয়েছে। যেমন গাদোয়ার কান্জিবরম, কান্জিলাল, অনেক ডিজাইন এবার আসছে আবার হ্যান্ডের বুটিকের কাজের অনেক জিনিস আসছে।
টেরিবাজারে পোশাক আমদানি করা হয় ভারত, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াসহ নানা দেশ থেকে। উৎসব আর সামাজিক অনুষ্ঠান মিলিয়ে, সারাবছর এখানে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হয়।
টেরিবাজারে ছোট–বড় মিলিয়ে পোশাকের মার্কেট আছে ১১০টি। যেখানে দোকান সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এবার ঈদে বেচাবিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।
অনু/দীপ্ত সংবাদ