ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও কক্সবাজার, মহেশখালীসহ দুটি পৌরসভা। দেয়ালচাপায় নিহত হয়েছে তিনজন। ক্ষতি হয়েছে ৩২ হাজারের বেশি ঘর।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণীতে এমন তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি ঘর–বাড়ি । এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩২ হাজারের বেশি ঘর। জেলার ৯ উপজেলার ৭০ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় অন্তত ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন। যার কারণে এখনো অন্ধকারে রয়েছে কক্সবাজার। তবে বুধবার সন্ধ্যায় সদরের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়েছে। কক্সবাজারে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও দুদিন সময় লাগবে।
নিহতদের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভায় দেয়াল চাপায় একজন, মহেশখালী ও চকরিয়ায় গাছ চাপায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে আসকর আলী (৪৭)।
গত (২৪ অক্টোবর) রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুন‘র আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো কক্সবাজার। দিনের বেলায় ক্ষতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। গাছপালা ও বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়েছে। পুরো জেলায় ২৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সেই সাথে মোবাইল নেটওয়ার্কের জটিলতাও দেখা দিয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ। গতকাল ২৪ অক্টোবরের ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় তিনজন নিহত এবং আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক।
জেলা প্রশাসক জানান, আশ্রয়ণ–২ প্রকল্পের আওতাধীন পেকুয়া উপজেলার সাতটি ঘরের টিন সম্পূর্ণ উড়ে গেছে এবং চকরিয়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত একটি ব্রিজ সম্পূর্ণ বেঁকে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। হাজার হাজার গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ